আব্দুস সালাম, টেকনাফ;

টেকনাফের নাফ নদী দিয়ে জেলের ছদ্মবেশে মাদক পাচারের সময় ২০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (২ বিজিবি) একটি বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে, যা বিজিবির মাদকবিরোধী কঠোর অবস্থানের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ। সম্প্রতি মানব ও মাদক পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে আটক করে আইনের হাতে সোপর্দ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে জানা যায়, একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র মিয়ানমার থেকে মাছ ধরার আড়ালে নাফ নদী দিয়ে জেলের ছদ্মবেশে ইয়াবা ও রোহিঙ্গা পাচার করছে।

তিনি আরও জানান, চক্রটি তাদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড আড়াল করতে প্রায়ই বিজিবির বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়িয়ে জনসাধারণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করে।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়ন জানতে পারে, সংঘবদ্ধ ওই চক্রটি মিয়ানমার থেকে মাছ ধরার ছলে ইয়াবা পাচারে সক্রিয়। এ তথ্যের ভিত্তিতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি টেকনাফ বিওপির দায়িত্বপূর্ণ নাইট্যংপাড়া এলাকায় বিশেষ টহল জোরদার করা হয়।

বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে টহলরত বিজিবি সদস্যরা নাইট্যংপাড়া ঘাট এলাকায় জাল হাতে কেওড়া বাগানের ভেতর দিয়ে দুই ব্যক্তিকে আসতে দেখে সন্দেহ করে। তাদের থামানোর চেষ্টা করলে তারা মাছ ধরার জাল ফেলে দ্রুত পাহাড়ের ঘন জঙ্গলে পালিয়ে যায়।

তাৎক্ষণিকভাবে ব্যাটালিয়ন অধিনায়কের নেতৃত্বে কয়েকটি অভিযানিক দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে নাইট্যংপাড়া ও পার্শ্ববর্তী পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালায়। পরে অপরাধীদের ফেলে যাওয়া জালের ভেতর তল্লাশি চালিয়ে বিশেষভাবে মোড়ানো দুটি প্লাস্টিক প্যাকেটে রাখা ২০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

যদিও এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি, তবে মানব ও মাদক পাচারকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে বিজিবির গোয়েন্দা কার্যক্রম আরও জোরদার করা হয়েছে।

বিজিবি অধিনায়ক আরও জানান, সীমান্ত এলাকায় সব ধরনের অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করছে এবং ভবিষ্যতেও তা বজায় রাখা হবে।